অনেক ভাবতে ইচ্ছে করে! কখন বিজ্ঞানীদের মত আবার কখনও কবি সাহিত্যিকদের মত, তবে যেভাবেই ভাবি না কেন, মনে একটা প্রশ্ন থেকে যায়।
---> যে জাতি মহাকাশ বিজয় করতে পারে, সে জাতি আজ এককোষী এক জড় নয় আবার জীবও নয় এমন শক্তির কাছে পরাজিত হচ্ছে।
---> যে জাতি গ্রহে ছেড়ে গ্রহে গিয়ে নব স্থপনা নির্মাণ করার নকশা করে, সে জাতি আজ এককোষী জীব বা জড়ের বংশ বিস্তারে বাধা তৈরি করতে পারছে না।
---> যে জাতি এক অপরকে মারার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে মারণাস্ত্র তৈরি করে, তারা এককোষী একটি শক্তি ধ্বংস করার কোন অস্ত্র আবিষ্কার করতে পারছে না।
( ভাইরাস জীবের সংস্পর্শে আসলে প্রাণের সঞ্চার ঘটে অন্যথায় এটি জড় বস্তুর মত আচরণ করে। বর্তমানে #করোনা_ভাইরাসের আক্রমণে শত শত দেশ আক্রান্ত হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুর কোলো ঢলে পড়ছে এবং ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ নাশের ঘটনাও ঘটেছে। আমরা মনুষ্য জাতি এত উন্নতির শিহরনে পৌছেও এর বিরুদ্ধে তেমন সাড়া দিতে পারি নাই বরং একদেশ থেকে অন্যদেশ, এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে পলায়ন করছি।
আবার কিছু অসাধু ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী বা গণমাধ্যম কিংবা কেউ এর সুযোগ নিয়ে নিজদের লাভবান করছে। ভাবতে বড় অদ্ভুত লাগে, আমরা মনুষ্যজাতি কত কিছু করতে পারি তবুও কিছুই করতে পারতেছি না।)
#About_করোনাভাইরাসঃ
#গঠনঃ
করোনা ভাইরাসের জিনোম নিজস্ব আরএনএ দিয়ে গঠিত। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৬ থেকে ৩২ কিলো বেস পেয়ার (kilo base-pair) এর মধ্যে হয়ে থাকে যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ। করোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট। কারণ ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটি দেখতে অনেকটা মুকুটের মত। ভাইরাসের উপরিভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রামিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে।সকল প্রজাতির করোনাভাইরাসে সাধারণত স্পাইক (এস), এনভেলপ (ই), মেমব্রেন (এম) এবং নিউক্লিওক্যাপসিড (এন) নামক চার ধরনের প্রেটিন দেখা যায়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানবদেহে যে রোগ হয় তার নাম হল কোভিড-১৯।
#করোনাভাইরাসে_আক্রান্ত_ব্যক্তির_প্রাথমিক_লক্ষণঃ
১.জ্বর
২.অবসাদ
৩.শুষ্ক কাশি
৪.শ্বাস কষ্ট
৫.গলা ব্যাথা
৬.কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত সকল উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকেনা।
(বাংলাদেশের মানুষদের সারা বছরই ঋতুকালিন সমস্যা গুলো এইরকম। তবে এগুলো হলেই করোনার সংক্রামণ ঘটেছে বলে ধরে নেওয়া যাবে না, তাহলে সংক্রামিত হয়েছে বলে কিভাবে বুঝবে? ওহ্হু, করোনা ও বুঝতে পারছে, বাঙালি জাতিকে আরও বেশি কষ্ট দিবে মানে সংক্রামণে কষ্টের পরিমাণটা বেশি হতে পারে হয়তো)
★★★ যারা সবটা লেখা পড়েছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ রইলো। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন এবং হাচি ও কাশি দেওয়ার সময় নাক মুখ কাপড় বা টিস্যু দিয়ে ঢেকে দিন।
0 Comments