বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকসমূহঃ
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকসমূহ বাংলাদেশের ইতিহাস, বাংলাদেশী ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক জীবনধারা ও আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে।
১)জাতীয় পতাকাঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা লাল-সবুজের পতাকা নামেও পরিচিত।এটি একটি সবুজ ক্ষেত্রের উপর একটি লাল বৃত্ত নিয়ে গঠিত। লাল বৃত্তটি বাংলায় উদীয়মান সূর্য এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন দানকারী শহীদদের প্রতীক বহন করে। পতাকার সবুজ ক্ষেত্রটি বাংলাদেশের বিস্তৃত সতেজ ভূমির প্রতীক।
২) জাতীয় প্রতীকঃবাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের কেন্দ্রে রয়েছে পানিতে ভাসমান একটি শাপলাফুল যা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। শাপলা ফুলটিকে বেষ্টন করে আছে ধানের দুটি শীষ। চূড়ায় পাটগাছের পরস্পরযুক্ত তিনটি পাতা এবং পাতার উভয় পার্শ্বে দুটি করে মোট চারটি তারকা। চারটি তারকা চিহ্ন দ্বারা বাংলাদেশের সংবিধানের চারটি মূলনীতিকে নির্দেশ করা হয়েছে। পানি, ধান ও পাট প্রতীকে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হয়েছে বাংলাদেশের নিসর্গ ও অর্থনীতি।
জাতীয় প্রতীকের ডিজাইনার পটুয়া কামরুল হাসান।
****সম্পূর্ণ লিখাটি না পড়তে চাইলে ভিডিওটা দেখে নিনঃ এখানে
৩) জাতীয় সঙ্গীতঃ আমার সোনার বাংলা গানের প্রথম দশ লাইন হলো বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, যার রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৪) জাতীয় রণসঙ্গীতঃ চল চল চল! কাজী নজরুল ইসলাম এর দাদরা তালের এই গানটি বাংলাদেশের যে কোনো সামরিক অনুষ্ঠানে ২১ লাইন যন্ত্রসঙ্গীতে বাজানো হয়।
৫) জাতীয় পাখিঃ জাতীয় পাখি দোয়েল। পাখিটি গড়ে প্রায় ১৫ বছর বাঁচে। দেখতে চমৎকার পাখিটি একইসাথে বনে-জঙ্গলে, পাহাড়েএবং শহরে সব জায়গাতেই দেখা যায়।
৬) জাতীয় ফলঃ জাতীয় ফল কাঁঠাল। কাচা কাঁঠালকে এঁচোড় বলা হয়।
৭) জাতীয় ফুলঃ পানিতে ভাসমান, সাদা রঙের শাপলা হলো বাংলদেশের জাতীয় ফুল। টাকা, পয়সা, দলিল ইত্যাদিতে প্রতীক আকারে শাপলার জলছাপ থাকে।
৮) জাতীয় মাছঃ ইলিশ হলো বাংলাদেশের জাতীয় মাছ।খাদ্য হিসেবে ভারতের বিভিন্ন এলাকা যেমন, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, ত্রিপুরা, আসামেও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাছ।
৯) জাতীয় বৃক্ষঃ জাতীয় বৃক্ষ হলো আম গাছ। ২০১০ সালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে আম গাছকে জাতীয় বৃক্ষের মর্যাদা দেয়া হয়
১০) জাতীয় পঞ্জিকাঃ বঙ্গাব্দ পঞ্জিকা। এটি বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৭ সালে গৃহীত হয়।
১৩) জাতীয় খেলাঃ কাবাডি। এটি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। পূর্বে কেবল মাত্র গ্রামে এই কাবাডি খেলার প্রচলন দেখা গেলেও বর্তমানে আন্তর্জাতিক ভাবেও খেলা হয়।
১৪) জাতীয় উদ্যানঃ ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান।এই উদ্যানটি রাজধানী ঢাকাথেকে উত্তরে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর জেলার, গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় অবস্থিত।
১৫) জাতীয় মসজিঃ দবায়তুল মুকাররম। আব্দুল লতিফ ইব্রাহিম বাওয়ানি প্রথম ঢাকাতে বিপুল ধারণক্ষমতাসহ একটি বৃহত্তর মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন। ১৯৫৯ সালে ‘বায়তুল মুকাররম মসজিদ সোসাইটি’ গঠনের মাধ্যমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়।
১৬) জাতীয় মন্দিরঃ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির। ধারণা করা হয় যে, সেন রাজবংশের রাজা বল্লাল সেন ১২শ শতাব্দীতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
১৭) জাতীয় যাদুঘরঃ বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর। এখানে একটি সংরক্ষণাগার, গ্রন্থাগার, মিলনায়তন, আরকাইভ, সিনেস্কেইপ এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনালয় রয়েছে।
১৮) জাতীয় গ্রন্থাগারঃ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগার। এটি দেশের গ্রন্থাগার ব্যবস্থার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের সকল প্রকাশনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা এবং সেগুলির যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং গবেষক ও পাঠকদের কাছে সেগুলি প্রাপ্তিসাধ্য করে তোলা হচ্ছে এর কাজ।
0 Comments