বাংলাদেশের নারীদের সামাজিক মর্যাদা বহুবছর ধরে সংগ্রাম করে বিশাল প্রাপ্তিকে বুঝানো হয়। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশি নারীরা বৃহদাকারে সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে। বিগত চার দশকে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, উন্নততর কর্ম প্রত্যাশা, উন্নত শিক্ষা এবং তাদের অধিকার রক্ষার্থে নতুন আইন প্রণয়ন দেখা গেছে। ২০১৩ অনুসারে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সবাই নারী ছিলেন। যদিও বাংলাদেশের সমাজ এখনো পিতৃতান্ত্রিকই রয়ে গেছে।
২০১১ সালের আদমশুমারীর প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের নারীর সংখ্যা ৭ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার। পুরুষ ও নারীর সংখ্যার অনুপাত ১০০:১০৩। এদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের গড় আয়ু ৬৩ বছর।
★★★নারীদের মধ্যে প্রথম যারা:
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের প্রথম নারী ভিপি—মাহফুজা খানম
- ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রথম নারী শহীদ—প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী—লীলা নাগ
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী শিক্ষক—করুণাকণা গুপ্ত,ইতিহাস বিভাগ
- দাবায় প্রথম আন্তর্জাতিক মহিলা গ্রান্ডমাস্টার—রানী হামিদ
- ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম নারী অধ্যক্ষ—ডা. হোসনে আরা তাহমিন
- বাংলাদেশ সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র নারী সদস্য—বেগম রাজিয়া বানু
- বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম নারী ডেপুটি গভর্নর- নাজনীন সুলতানা
- এভারেস্ট জয়ী প্রথম বাংলাদেশী নারী- নিশাত মজুমদার
- বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী উপাচার্য- ফারজানা ইসলাম
- বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ- গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ইফফাত ফারাহ মৌসুমি
♦বিভিন্ন পদে থাকা বাংলাদেশী নারী
0 Comments